মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

স্বদেশ ডেস্ক:

পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে কৃষাণ-কৃষানিদের মুখে। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে উৎপাদিত তরমুজ পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলাগুলোতে।

উপরে সবুজ, ভিতরে টকটকে লাল। যেমন রসালো, তেমন মিষ্টি পাহাড়ে উৎপাদিত এসব তরমুজ। তাই চাহিদাও বেশি। তাই দামও বেশি বলছেন ক্রেতারা।

জেলা কৃষিবিভাগ বলছে, উপযুক্ত আবহাওয়া এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলায় এবছর ঈর্ষণীয় ফলন হয়েছে তরমুজের। তাই লাভের টাকাগুনছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

 

সরজমিনে দেখা গেছে, রাঙামাটির বনরূপা বাজারের সমতাঘাটে বসেছে হরেক রকমের তরমুজের হাট। সাপ্তাহিক হাট নয়, সব সময় জমজমাট রাঙামাটির তরমুজের হাট। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলা বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে নৌ পথে নিয়ে আসা হয় দুর্গম পাহাড়ে উৎপাদিত তরমুজ। সমতাঘাটে আসার পর বিভিন্ন পরিবহনে করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা গুলোতে। ছড়িয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় হাট বাজারে।

এ বিষয়ে কথা হয় তরমুজ ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেনের সাথে। তিনি জানান, রাঙামাটির বালুখালী ইউনিয়ন থেকে পাইকারী ধরে এক হাজার ৪০০টি তরমুজ নিয়ে আসছি ২ লাখ ৮০০ টাকায়। এরই মধ্যে কুমের অংশ উঠে গেছে। লাভের অংশ উঠবে। কারণ চাহিদা অনেক।

একই কথা জানায় আরেক তরমুজ ব্যবসায়ী পলাশ চাকমা। তিনি বলেন, দাম দিয়ে পাইকারী বাজার থেকে তরমুজ কিনে এনেছি তাই খুচরা বাজারেও দাম একটু বেশি। কারণ কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়াতে নৌ পথে তরমুজ শহরে আনতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে দাম দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে তরমুজ। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় ও মাঝারি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০টাকা । আর ছোট আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ।

স্থানীয় ক্রেতা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে রাঙামাটিতে তরমুজের দাম বেশি। স্থানীয় চাহিদা না মিটিয়ে এসব তরমুজ বাজারজাত করা হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। তাই আমাদের দাম দিয়ে তরমুজ ক্রয় করতে হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানায়, চলতি বছর রাঙামাটি জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আর প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র নিধারণ করা হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় দিগুণ। এছাড়া উপযুক্ত আবহাওয়া এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877